সেবাসমূহ
উপজেলা কৃষি অফিস একটি সরকারি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এ অফিসের মূল দায়িত্বই হচ্ছে আধুনিক ও লাগসই প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে এদেশের কৃষি উন্নয়ন কর্মকান্ডে জড়িত বিভিন্ন সংস্থা/প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগসূত্র রচনা করে কৃষি উন্নয়নের গতিধারাকে ত্বরান্বিত করা। প্রযুক্তি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে কৃষি পরিবেশ, কৃষকের আর্থ সামাজিক অবস্থা, বাজার চাহিদা ইত্যাদি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে উপজেলা কৃষি অফিস সেবা প্রদান করে আসছে |
১) সকল শ্রেণির কৃষকের জন্য কৃষি সম্প্রসারণ সহায়তা দেয়াঃ
সব ধরেনর কৃষক পরিবারের সকল সদস্য তাদের প্রয়োজানুযায়ী যাতে সেবা পেতে পারে তারে নিশ্চয়তা দেয়া।
২) কৃষকদেরকে দক্ষ সম্প্রসারণ সেবা প্রদানঃ
দক্ষ সম্প্রসারণ কর্মীর মাধ্যমে কৃষকদেরকে সর্বাধিক ব্যয় সাশ্রয়ী সেবা প্রদান করা।
৩) কৃষি বিষয়ক কর্মসূচি প্রনয়ন বিকেন্দ্রীকরণঃ
তথ্য চাহিদা চিহ্নিতকরণ ও চাহিদার প্রতি সাড়া প্রদান, স্থানীয় সম্পদ সর্ম্পকে তথ্য সংগ্রহ, কর্মসুচি পরিকল্পনা, পশিক্ষন এবং গনমাধ্যম ভিত্তিকভাবে কর্মসূচি প্রনয়ন।
৪) চাহিদা ভিত্তিক কৃষি সম্প্রসারণঃ
চিহ্নিত চাহিদা, সমস্যা ওসম্ভ্যাব্যতার উপর ভিত্তি করেই সকল সম্প্রসারণ কার্যক্রম ও গবেষনাদির বিষয়বস্তু নির্ধারন করা।
৫) সকল শ্রেণির কৃষক দলের সাথে কাজ করাঃ
কৃষকের কাজে সর্বাধিক সুবিধা পৌছে দিতে মাঠ পর্যায়ে বিদ্যমান পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রকার কৃষক দলের সাথে কাজ করা।
৬) কৃষি গবেষণা ও কৃষি সম্প্রসারণ কার্যক্রম জোরদারকরণঃ
কৃষকদের উপযুক্ত পরামর্শ দিতে তাদের প্রয়োজনানুযায়ী কৃষি গবেষনাগারের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান বের করতে কৃষি গবেষণা ও কৃষি সম্প্রসারণ এর সাথে নিবিড় সর্ম্পক গড়ে তোলা।
৭) সম্প্রসারণ কর্মীদের জন্য প্রশিক্ষণঃ
কৃষকের সেবা চাহিদার উপর ভিত্তি করে সম্প্রসারণ কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়া।
৮) উপযুক্ত সম্প্রসারণ পদ্ধতির ব্যবহারঃ
বিভিন্ন শ্রেনীর কৃষকের সুনির্দিষ্ট সম্প্রসারণ উদ্দেশ্যাবলী অর্জনের লক্ষ্যে সম্প্রসারণ সংস্থা ও কর্মীবৃন্দ খামার পরিদর্শন, গণমধ্যম, প্রশিক্ষন, মেলা, পরিদর্শন ও উদ্বুদ্বকরণ ভ্রমণ এবং অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতি সমূহ ব্যবহার।
৯) সমন্বিত সম্প্রসারণ সহায়তা প্রদানঃ
উপজেলা কৃষি অফিস আরও বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারী সংস্থার সাথে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে সম্প্রসারণ সহায়তা প্রদান করে।
১০) সম্বিলিত সম্প্রসারণ কার্যক্রমঃ
সম্পদসমুহের সবোর্ত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির সাথে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে সম্প্রসারণ সেবা দান করা।
১১) পরিবেশ সংরক্ষণে সমন্বিত সহায়তা প্রদানঃ
প্রাকৃতিক পরিবেশের জীব বৈচিত্রের ভারসাম্য রক্ষার অনুকূলে ভূমি, পানি ও বায়ূদূষন ও ক্ষয় নিয়ন্ত্রন দূর করা,পরিবেশ সুরক্ষাকারী এবং ব্যবস্থপনা ও সরকারী এবং ব্যক্তিখাতের পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়াবলী রক্ষার সক্ষমতা বৃদ্বি করা।
১২) কৃষি বাণিজ্যকরণঃ
কৃষকের উৎপাদিত পন্যের বাজারজাতকরনে এবং ন্যায্যমূল্য পেতে সহায়তা করা।
১৩) কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারঃ
কৃষি বিষয়ক যে কোন তথ্য পরামর্শ এবং প্রযুক্তি কৃষিকর্মী, কৃষক এবং সাধারন জনগনের মধ্যে পৌছানো।
14) কৃষি পুনবার্সনে সহায়তাঃ
বন্যা, খরা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে কৃষি উপকরণ সহায়তা প্রদান করা।
15) কৃষি ভর্তুকিঃ
কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপকরণাদি কৃষকের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য এবং উৎপাদন খরচ কমানোর জন্য বিভিন্ন সময় সরকারের দেয়া ভর্তুকি উপকরণাদি কৃষকদের মধ্যে বিতরণ।
16) সার ডিলার নিয়োগ ও বালাইনাশকের লাইসেন্স প্রদানঃ
সার ডিলার ও খুচরা সার বিক্রেতা নিয়োগ করা।
বালাইনাশকের খুচরা ও পাইকারী বিক্রেতার লাইসেন্স প্রদান করা।
17) সার মনিটরিং
ন্যায়্যমূল্যে ভেজালমুক্ত সার চাষীদের দোড়গোড়ায় পৌছানোর জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন।
ফসলের প্রয়োজন অনুসারে সারের সরবরাহ নিশ্চিত করার ব্যবস্থপনা।
18) বালাইনাশক মনিটরিং
বালাইনাশকের মান ও বাজার নিয়ন্ত্রণ।
ভেজাল বালাইনাশকের নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষাগারে প্রেরণপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন।
19) আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারঃ
আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে কম খরচে অধিক উৎপাদন করে কৃষকদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়েন সহায়তা করা।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস